এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল আফগানিস্তান। মাত্র ১৩৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে টাইগার বোলাররা লড়াই করেছিল সাধ্যমতো। সবার মিলিত চেষ্টায় জাগিয়েছিল রোমাঞ্চের আশা। কিন্তু মোহাম্মদ নবির টর্নেডো ইনিংসে ৭ বল বাকি থাকতেই দারুণ এক জয় তুলে নিল আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের দেয়া ১৩৫ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৫ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি। ১৫ বল খেলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ নবী।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে নাজমুল ইসলাম অপু চার ওভার বল করে ১৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। চার ওভারের মধ্যে তার প্রথম দুইটি ওভার ছিল ম্যাডেন। সাকিব আল হাসান চার ওভার বল করে ৩৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত তিন ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে দুইটি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া রুবেল হোসেন ১টি ও আবু জায়েদ রাহি ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
আফগানিস্তানের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ৩৮ রানে। মোহাম্মদ শাহজাদকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আবু হায়দার রনি। ১৮ বল খেলে ২৪ রান করেন শাহজাদ। এরপর ১১তম ওভারে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ বানিয়ে উসমান ঘানিকে ফেরান রুবেল হোসেন। উসমান করেন ২১ রান। ১৪তম ওভারে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলে স্ট্যাম্পিং হন আসঘার স্টানিকজাই। ১৮তম ওভারে সামিউল্লাহ শেনওয়ারিকে বোল্ড করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান তামিম ইকবালের। ৪৮ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ মুশফিকুর রহিমের। তিনি করেন ২২ রান। শেষ দিকে ১৪ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন আবু হায়দার রনি।
আফগান স্পিনারদের মধ্যে চার ওভার বল করে ১২ রান দিয়ে চারটি উইকেট শিকার করেন রশীদ খান। রশীদ খান ছাড়াও বল হাতে আলো ছড়ান অন্য আফগান বোলাররা।